শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

এশিয়া কাপ ,কান্না দিয়ে যার শুরু এবং কান্না দিয়ে শেষ ......সেই সাথে আমাদের অর্জন

চাপ , মানসিক উত্তেজনা এমন প্রেক্ষাপট অনেকদিন সহজে আসেনি, তাই হয়তো অনেক টাই নির্ভার ছিলাম গতকাল ।সকাল থেকেই মুখ থেকে শুধু একটা শব্দ খেলা খেলা, একটু বেশিই আবেগপ্রবণ বলেই হয়তো আগ্রহ টা ছিল সবার থেকেও একটু বেশি। 
বিজয় মিছিলের কথাও বলে ফেলেছি কয়েকবার ......./:)/:)


তারপর ক্যাম্পাস থেকে বাসায় আসা, খেলা দেখা (আসলে আউট হলে দেখতে যাই)এতো সাসপেন্স নিয়ে খেলা দেখা সম্ভব না । যেখানে আমার আম্মুই বলেন যে আমি দেখলে নাকি আউট হয় না , কি আর করা , একদিকে মুভি দেখি ,আর কান থেকে ইয়ারপিস খুলে শুনি কেউ চিৎকার দেয় কিনা আউট ক্যাচ মিস আম্পায়ার এর ভুল সিদ্ধান্ত সব কিছুতেই আবেগ আর গলার ১৬ আনাই ব্যবহার করতে হবে । কোন ছাড় নেই । 


আর ফেসবুক আছে না , সেকেন্ডে সেকেন্ড একি জিনিস নিয়ে স্ট্যাটাসে হোম পেইজ ভর্তি এটা মনে হয় খোদ মার্ক জুকারবারগ ও আশা করে নাই।বিশেষ করে খেলা শেষ হবার পর সেদিন শ্রীলঙ্কার সাথে তার ডাটাবেস আমার পিসিতে দুইবার ডাব্বু মারসিল । আসলেই ক্রিকেট পাগল জাতি , এমন জাতি পাওয়াই মুশকিল । 

বিকেলের দিকে পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারে শাহাদাতের ১৭ রান দেবার পর মন টা অনেক মিইয়েই গিয়েছিল , মন খারাপ ভাবলাম যে যাই বাইরে থেকে হেটেও আসি ,কামলাটাও খেটে আসি ,রাস্তায় বের হয়ে মনে হল ঈদের আগের দিনের কোন এক বিকেল এর কথা ,পুরো জাতি যেন অপেক্ষা করছে কোন এক বিরাট উৎসব এর , হোন্ডা গুলো পতাকা দিয়ে মোড়ানো বিজয় মিছিলের সব ক্ষেত্র প্রস্তুত । এখন বাকি শুধু সন্ধ্যার পর ঈদের চাঁদ মানে আনন্দের উপলখ্য টা তৈরি হওয়ার। :|:|


ছাত্রীর বাসায় যাবার মাঝপথেই ফোন ভাইয়া ,আজকে আসবেন না , আজকে খেলা দেখবো , আমি বললাম দেখে কি হবে । শাহদাত যা রান দিলো । পিচ্চি মেয়ে দিলো এক ঝাড়ি , ভাইয়া মাত্র ২৩৬ এটা কি কোন ব্যাপার নাকি, আজ জিতবোই ইনশাল্লাহ । অবাক হলাম , হতাশাবাদীদের দলে কি শুধুই আমি ??? 


তাই আবার বাসায় ফিরে আসা , তারপর উত্তেজনা উচ্চ রক্তচাপ এর কারণে পিসি অফ করে শেষ পর্যন্ত শেষ তিন ওভার দেখতে বসা। এবং খেলা শেষ হবার পর যখন সাকিব মুশফিক রা কাদছে তখন আমার চোখের পানি নাকি বালিশের ধুলোর কারণে এলারজি কোন কারণে যে কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তা আমি নিজেই জানি না ................:((:((:((




পাওয়া- আমরা হারিনি আমরা হারতে পারি না , এই খেলায় ও আমরা হারিনি, হারানোর কিছুই নেই । আগে ছিলাম সারপ্রাইজিং টিম এখন খেলবো অস্ট্রেলিয়ার মতো অপ্রতিরোধ্য , আমাদের প্লেয়ার দের ভিডিও ফুটেজ দেখতে দেখতে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় রা নাজেহাল হয়ে যাবে তারপরও তারা মাঠে নেমে ঠিক ই ইংসুইঙ্গার এ আউট হয়ে আসবে। আজ অরডিনারি টিম ভারত খেলতে চাইবে , কিন্তু আমাদের ব্যস্ত শিডিউল তাই আমরা সময় দিতে পারবো না 


বাঘের গর্জন শুনেছে বিশ্ব, দেখেছে বাঘের আচড় কিভাবে দেয় গতকাল এখন দেখবে বাঘের একশন ..........।


কিছু অর্জন এই এশিয়া কাপ থেকে - 
*কিছু উদ্যমী এবং সাহসী মানুষকে পাশে পেয়েছি যারা কখনই চান না এদেশের থেকে পড়ে পর দেশের দালালী করুক । তাদের মত কিছু মানুষের জন্যই এখন ব্লগে এবং ফেসবুকে মানুষ বুক ফুলিয়ে বলতে ভয় পায় ,যে খেলায় রাজনীতি আনো কেন , কিংবা আমি আমার ইচ্ছা যে ই দেশ কে সাপোর্ট করি তাতে কার কি ? 


**আবার কিছু মানুষ আছে যারা শুধু ইন্ডিয়া কে বাশ দেবার সময় খুবই আগ্রহী থাকে ,কিন্তু ফাকিস্তানের প্রশ্নে কেন জানি উনাকে দেখা যায় না , উনি কি নিজেকে তখন ফাকিস্তানের পুরনো বংশধর হিসেবে নিজেকে খুজতে ব্যস্ত থাকেন? থু তোদের এই কনফিউশনে 


***আবার অনেকেই আজকে (বিভিন্ন ফ্যান পেইজ ও হোম পেইজ/সোনা ব্লগ তো বাদই দিলাম) বিভিন্ন ফাকিস্তানি ছাগলদের আমাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো মুলক স্ট্যাটাস ও ছবি শেয়ার করেছে কিন্তু তারা কি জানে না ,যে শেষ ওভারে তাদের ফাকি ভাই আজীজ চিমাই কিন্তু মাহমুদুল্লাহ কে ২ রান নিতে দেয় নি ক্রিজে বাধা নিয়ে ?? কিংবা তারাই যে বলে বাংলাদেশ নয় আফগানিস্তান কে টেস্ট স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়া হোক । 

পরিশেষে আবার ও বলতে হয় 


"যে সব বঙ্গে জন্মি হইয়াছে ভারতীয় /পাকিস্তানি সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন' জানি "

সেই সাথে একটা ভিডিও 
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=LBD-xL_GR98

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

হঠাৎ নিজের কেন যেন মনে হয়ে উঠে যে জড়ের ও প্রাণ আছে ....


লেখালেখির অভ্যাস টা বড়ই খারাপ না লিখলে মাঝে মাঝে নেশাখোর দের মত অবস্থা হয় , কিছু না কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করে । তাই ছোটো একটা কিছু লেখার চেষ্টা । 


কুমিল্লা শহরে স্মৃতি ময় কয়েকটা বছর কাটিয়ে আসা হয় আমার সেখানে তাই এবার ও যাবার সময় বার বার চিন্তা করছিলাম কার সাথে আগে দেখা হবে তাই একটু আবেগের মাত্রাটা আরেকটু বেশিই ছিল ফোন দিয়ে দেখা করার জন্য এক বন্ধু কে বললাম তুই কান্দিরপাড় দাড়া আমি আইতাসি । এদিকে সেই ক্লাস ফাইভ এরপরে এই শহর টাতে আমার বড় হওয়া তাই আবেগের মাত্রা টা ছিল আরেকটু বেশি , স্কুল এ ভিতর সন্ধ্যার পর ঢুকে গেলাম যদিও গেটে দাড়োয়ান ছিল , আমি সাবেক ছাত্র বলে ভিতরে ঢুকতে পারলাম । ইচ্ছে করছিল স্কুল এর প্রতিটা থাম ছুয়ে দেখি ।কারন দুরন্ত সেই দিন গুলোর দস্যি পনার অনেক স্মৃতি ই জড়িয়ে আছে স্কুল এর প্রতিটা থাম গুলোয় ,যেন নিজেকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম পিটি করার সময় ক্লাসের বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে থাকা আর পরে স্যার এর হাতে ঠিক ই ধরা পড়া । অনেকে বলবে যে জীবনে স্যার এর হাতে মার খায় নি বা খাবার ছাত্র ছিল না সে। কিন্তু আমার মনে হয় যে স্যারদের মার খাবার মাঝেও একটা নিয়ামত আছে ,কেমন যেন একটা আদরের মায়া । যে স্যার এর কাছে মার খায় নি তার জীবনে যেন কি একটা অপূর্ণ রয়ে গেল । একা একা স্কুল বিল্ডিং এর সাথে কথা বললাম রাগ অভিমান করলাম অন্ধকার এ দাঁড়িয়ে । জিজ্ঞেস করলাম আমাকে ভুলে গেছে কিনা গাছের পাতা গুলো শীতের প্রারম্ভে কিছু শুষ্ক পাতা ঝরিয়ে বলল না তোমাদের কি ভুলতে পারি ?? :((:((

স্যার এর রুমের সামনে দাড়ালাম , সেই আগের মতই আছে, ঘন্টা বাজাবার জায়গাটা পর্যন্ত পরিবর্তন হয় নি । সামনে আসার রাস্তাটায় দাড়াতেই মনে পড়লো কামরুজ্জামান স্যার এর কথা । স্যার সেকেন্ড টার্মে ম্যাথ এ মাইনাস পাওয়াতে বলেছিলেন যে এরকম ই করবা এস এস সি তে ,টেস্টে এ প্লাস পেয়ে স্যার কে গিয়ে টিচার্স রুমে ভিতর গিয়ে সালাম করে বলে এসেছিলাম যে স্যার আপনার জন্য ম্যাথ এ প্লাস টা পেলাম । আপনি জেদ টা না ধরিয়ে দিয়ে মনে হয় পেতাম না । .....

এখন স্কুল এর সব কিছুই ঠিক আছে শুধু চারপাশ টা একটু বেশি ই কোলাহল ,দিনে রাতে সব সময় আশে পাশে রাস্তায় অপজিটে বিল্ডিং গুলোর কাজ চলছে গোলচত্তরের পাশের বাগান টায় গাছ গুলোয় মনে হয় ধুলি একটু বেশি ই জমেছে ।

সবছেয়ে বড় অভিমান করেছে মনে হয় ধর্মসাগর পাড় টা ।এবার একবার ও দেখতে যায় নি তাকে । কে জানে আবার কোন ঈদে কুমিল্লা যাওয়া পড়বে। একসময় সবার ই নাড়ির টান এখানেই ছিল মাস শেষে সপ্তাহ শেষে সবাই কুমিল্লাতেই আসতো এখন নাড়ির টান হয়তো আর কাজ করে না , নিজের বাসায় মায়াও আর টানে ছেলে মেয়ে ভালো স্কুল কলেজে পড়ানোর প্রতিযোগিতায় সবাই ঢাকায় । নানুর ৪ তালা বাসাটায় গিয়ে একরকম কান্নাই পেলো যেন নীরবে অশ্রুবিসর্জন করছে । কল্পনায় দেখতে পাই এই বাসায় আসার জন্য একসময় কতই না বাহানা করেছি ,আম্মু পড়া শেষ এখন নানু বাসায় চল , আম্মু পেট ব্যাথা নানু বাসায় যাই । 
আম্মু নানু কে দেখিনা অনেকদিন চল না একটু যাই । আর এখন যেন ভুতের পুরী । গেলে মনে হয় এখন দেয়াল এর প্রতিটি ইট এর হাহাকার শুনতে পাই । 

হঠাৎ নিজের মনে হয়ে উঠে জড়ের ও প্রাণ আছে ,নাহলে তাদের কষ্ট গুলো কেন আমি অনুভব করতে পারি আমি । কেনো তাদের আমি বিড়বিড় করে নিজের অজান্তেই স্বান্তনা দেই । আর কেনই বা আমার কান্না আসে .......... 

হয়তো সত্যি । স্মৃতি তুমিই সত্যিই বড় রহস্য ময় ।

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১১

ট্রেন কখনও থেমে থাকে না ,ট্রেন ভ্রমণ বিষয়ক আমার কিছু স্মৃতি কথা ও নানা বিড়ম্বনা কাহিনী

কু ঝিক ঝিক ঝিক .........
এই শব্দ টা শুনলেই আমাদের মনে পড়ে সেই ছোটো বেলায় পড়া শামসুর রাহমানের সেই ট্রেন কবিতাটা ,ক্লাস ওয়ান বা টু তে পড়তে হত সেটা
ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে

 রাত দুপুরে অই। 
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে 
ট্রেনের বাড়ি কই 
? একটু জিরোয়, ফের ছুটে যায় 
মাঠ পেরুলেই বন।
 পুলের ওপর বাজনা বাজে
 ঝন ঝনাঝন ঝন। ................


ট্রেন ভ্রমণ এর আগ্রহ আমার শুরু হয় সেই কবিতাটি পড়েই । তবে সে ট্রেনে চড়ার আকাঙ্খা যে আমার এতো তাড়াতাড়ি পুরণ হবে তা কে জানতো । ক্লাস ওয়ানের পড়া সব বাসায় ই শেষ করে ফেলেছিলাম তাই স্কুল গিয়ে আর সাময়িক পরীক্ষা দেবার প্রয়োজন পড়েনি, তবে পরীক্ষার খাতায় যুদ্ধ করার চেয়ে বাসায় সারাদিন এটা গুণ গুণ করে পড়া হত এর প্রধান কারণ টাই ছিল এই ভ্রমণ এর স্বপ্ন। তাই বলে প্রথম ট্রেন ভ্রমণ এর সুযোগ যে সেই বছর ই চলে আসবে এটা ভাবিনি । আর আসলেও এটা এমন ভাবে স্মৃতিতে গাথার মত ব্যাপার হবে তা ই বা কে জানতো সেই ক্লাস ওয়ান এর বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম রোজা ঈদ বাড়িতে যাবার সময় ই আমার হয়ে গেল প্রথম অভিজ্ঞতা । জীবন এর প্রথম পরীক্ষা দেবার পর টি এন্ড টি একচেঞ্জ অফিস এ গিয়ে নানুর বাসার সবার সাথে ফোনালাপে পরীক্ষার প্রথম স্থান অধিকার করবোই করব এমন একটা ভাব নিয়ে বললাম যে নানু এবার ঈদ করতে তোমাদের এখানেই আসছি পরশু দিন , নাতির এহেন আবদারে আমার নানু উচ্ছসিত । বললেন “ চলে আসো তাড়াতাড়ি নানু ভাই ।


আমাদের রওয়ানা দেবার দিন ঘনিয়ে এলো ,যেহেতু ট্রেন সিলেট স্টেশন থেকে ছাড়ে সকাল ৭ টায় তাই আব্বু আগেই একটা বেবি ট্যাক্সি কে বলে রেখেছিল। এটা ভোর ৪ টায় বাসার সামনে থেকে ছাড়বে , বলা বাহুল্য ১৯৯৬ সালের দিককার সময় ঈদ গুলো হত পুরো ডিসেম্বর জানুয়ারী থেকে শুরু করে মার্চে গিয়ে কোরবানির ঈদ হয়ে শেষ হত সে বছর গুলোর ঈদ মৌসুম এরকম ই আমার মনে পড়ে । যাই হোক ব্যাগ আম্মু আগেই গুছিয়ে রেখেছিল । তাই দেরি না করে আমরা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম এই শীতের রাতেই বলা যায় ভোর রাত।

তবে রাস্তায় বের হয়েই প্রমাদ গুনতে হল ।কারণ একে তো শীত কাল তার উপর তখনকার টপ্যিকাল সিলেটের ভারী কুয়াশা ।এখন আর তেমন কুয়াশা পড়ে না । বেবীট্যাক্সি গাড়ির ড্রাইভার স্পীড ২০/৩০ এর বেশি তুলতে পারছিলেন না । তার প্রধান কারণ রাস্তা টা ছিল অনেক আকাবাকা ২ টা বিপদজবনক ব্রীজ ও ছিল । আব্বুর আরো বড় ভুল টা করেছিলেন হাতঘড়ি টা বাসায় ভুল করে ফেলে এসেছিলেন তাই ড়্রাইভার কে সময় দেখে তাগাদা দিতেও পারছেন না বেচারা র ও দোষ নেই সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে । আর এদিক দিয়ে এতো কুয়াশা যে রাত ৪ টা আর সকাল ৭ টার মাঝে কোন পার্থক্য খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না । যাই হোক অবশেষে সিলেটে পৌছলাম কোন ঝামেলা ছাড়াই ।


কিন্তু তখন ও মনে হয় আসল চমক টাই বাকি রয়ে গিয়েছিলআমাদের জন্য সেটা হল আমরা স্টেশন এ পৌছানোর পর শুনি ট্রেন ছেড়ে চলে গিয়েছে ,এবং সেটা অনটাইমেই ছিল। এরপর যা হল রীতিমত বলা যায় ট্রেন এর সাথে পাল্লা দিয়ে দৌড়ানো ।আব্বু তখন ই টেক্সি ড্রাইভার কে বিদায় করলেন ভাড়া দিয়ে । এবং একটা মাইক্রো ভাড়া নিলেন । কারণ ট্রেন এরপরের স্টেশন ফেঞ্চুগঞ্জ এ থামবে সেখানে গিয়ে ট্রেনে উঠলেই হয়ে যাবে ।


কিন্তু না ,ফেঞ্চুগঞ্জ এ গিয়ে শুনি ট্রেন ছেড়ে চলে গিয়েছে । পুরো ব্যাপার টা আমার মনে হলে এখন ও মনে হয় কোন মুভির ট্রেইলার এর কিছু অংশ দেখানো হচ্ছে যেখানে ভিলেন কে ধরার জন্য নায়ক ছুটে চলে এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে । এরপর আর কি করা সেই স্থল পথ দিয়েই মাইক্রো নিয়ে যেতে হল আমাদের অবশেষে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরতে
পেরেছিলাম । তাও অল্পের জন্য। এখন ও মনে আছে আমাকে জানালা দিয়ে ভিতরে ঢুকানো হয়েছিল । তারপর পুরো ট্রেন ঘুরে যখন আমরা আমাদের সিট পেলাম ততক্ষণে ট্রেন শায়েস্তাগঞ্জ চলে এসেছে।

আমার নানু তার নাতি কে পেল ক্লান্ত বিধ্বস্ত ভাবে ।এখন মাঝে মাঝে (আসলে প্রায় ই বলা উচিত)যখন ট্রেন লেট হয় আর আমরা স্টেশনে অপেক্ষা করি তখন ভাবি যে কারো কি এরকম হয়েছিল যে সেই লেট ট্রেন লেট না অনটাইমে পৌছেও ।তারপর আবার ট্রেনের পিছনে ভাড়ার দ্বিগুণ টাকা খরচ করে ট্রেন এ আবার চড়ে বসা। জীবন টা সত্যিই অদ্ভুত ,সেই সাথে স্মৃতি গুলো ও ।প্রতিদিন ট্রেন আসে আবার চলে যায় , ট্রেন এর চলার সময়ের সাথে সময়ের স্রোত একাধারে চলতে থাকে । সময়ের স্রোত কে না থামানো গেলেও ট্রেনের লেট হলে কিন্তু ট্রেনের সময় হয়তঠিক ই থেমে থাকে ।মাঝে মাঝে কল্পলোকের রাজ্যে চলে যাই ,ভাবি যে ইশ ! ট্রেন লেট এর মত সময় কেও যদ এরকম লেট করানো যেত ,
কিন্তু এই ভাবনা কখন ও বাস্তবে রূপ নিবে না , শুধুই কল্পনার রাজ্যে হয়তো কিছু আকিবুকি হবে আর আমরা তাকে পুজি করে কিছু লিখতে পারবো ।

-১৫.১১.২০১১

রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১১

ব্লগের হালচাল কখন কিভাবে চলে তা কি করে বুঝবেন, অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি টিউটোরিয়াল পোষ্ট(নতুন ব্লগারদের জন্য অবশ্য পাঠ্য)

ব্লগে এসে অনেকের এই ভাব যেন ঢাকা শহর আইসসা আমার আশা পুরাইসে:-*:-* ,অথবা আমি উহাকে পাইলাম ইহাকে পাইলাম ।B-)B-)কারণ টা কি ?? 8-| 8-|


**আপনি ব্লগে আসেন হঠাৎ দেখলেন সবাই কওয়া শুরু করসে আগুন পোষ্ট আগুন পোষ্ট:|:| ,আপনি ভাবলেন হায় হায় পোষ্টে আবার আগুন লাগে কিভাবে !!! গিয়ে দেখেন যে না আসলেই একটা আগুন মার্কা পোষ্টB-)B-) এখন কার যারা ব্লগার বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি এর পরে :((:(((মাইনাচ তুমি কুতায়)যারা এসেছেন তারা অনেকেই এখন আর সেই গুল্লি ডট কম এর সেই আগুন পোষ্ট বা পোষ্টে গুলাব এই টাইপ ইমো মিস করেন /:)/:)

**একসময় তো কিছু পোষ্ট আছে যেগুলো তে মাইনাস এর বন্যা বয়ে যেত ,পোষ্ট দাতা নাকের পানি চোখের পানি এককরে নিজের কান্নায় পানির ডুব সাতার কেটে পাড়ি দিয়ে ওই পোষ্ট ড্রাফট করতো কিংবা হয়তো অনেকেই জীবনের তরে সামু ছেড়ে চলে যেতেন ,এরকম একটা পোষ্ট হল জলকনা আপুর পোষ্টইতিহাসের এক অমর সাক্ষী বেচারি ৫৯৬ না ৫৯৪ টা মাইনাস দেখেছিলাম এই পোষ্ট এ শেষ পর্যন্ত মাইনাস প্রথা চলে যাবার পর ও অনেককেই তার পোষ্ট এ উৎসাহী হয়ে মাইনাস দিতে দেখা গিয়েছে ,এই হল সামু:):):D ।আবার আপনি হয়তো একটা কালজয়ী পোষ্ট যেমন ব্লগার কালপুরুষ দার পোষ্ট কিংবা একটা সাইফাই পোষ্ট পড়ে এসে যেই অন্য কোথাও আসলেন ওমনি দেখলেন পুলিশ এর সাইরেন কিংবা পেউ পেউB-)B-) আওয়াজ এখন হয়তো ভাববেন হায় হায় এ কি হল পুলিশ এর আবার কি দরকার ।ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখবেন হয়তো কোনো বিখ্যাত ব্লগার মুখ ফসকে বা কীবোর্ড ফসকে (ইহা নিক জনিত জটিলতা বা লগ ইন )জটিলতাই হোক সেখানে বিপদে পড়েছেন তাই তার পালা কুকুর গুলো ঘেউ ঘেউ করে সেদিকে ছুটে যাচ্ছে তাকে বাচাতে :|:|।আর আমরা মানুষ মাত্রই জানি যে “কুকুর হইতে সাবধান”তাই সেই পোষ্ট এর ২০০ হাত দূরে থাকুন মজা নিতে চাইলে নিতেও পারেন এইটা অবশ্য না করে লাভ নেই বাংগালি না হে হে :P:P


***আবার হঠাৎ দেখবেন একদিক থেকে ছাগল বা পাঠার গা নিসৃত বাজে গন্ধ ।আপনি যদি ভদ্র ঘরের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে ওদিকেও যাবেন না কারন একদল মানুষ থাকে যারা ব্লগে সারাদিন থাকবেই রাজাকার দের সাফাই গাইতে তাই সেদিক থেকে আমার পরামর্শ ২০০ হাত দূরে থাকা। তবে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপানার অবশ্যি দায়িত্ব থাকবে কিভাবে ছাগুকে নগদ গদাম দিতে হয় তাই পরে মাঠ ঠাণ্ডা হলে গেলেও চলবে।:-/:-/

****আবার আরেকদিক থেকে আসতে পারে কুই কুই কান্না :((:((:((তাহলে বুঝতে হবে এটা কারো ক্ষমা প্রার্থনা মূলক পোষ্ট কারো সাথে ঘারতেরামি করতে গিয়ে নিজের খাদে নিজেই পড়েছে তাই এখন এই নামউল্লেখিত পোষ্ট দিয়েছে। আপনি পারলে একগাদা টিস্যু দিয়ে আসতে পারেন :P:P:P

$$
এই গেল ব্লগ এর হালচাল বোঝা ,তবে একেকজন একেকভাবে বোঝেন কেউ ফান্দে বগা পড়ে কান্দে আবার কেউ ফান্দে পড়ার জন্যই আসেন কেউ আবার পোষ্ট দিয়ে সরাসরি তমুখ কে পাত্রি হিসেবে কামনা করে পোষ্ট দিয়ে বসেনX(X(X((X((।তাই যেহেতু মাইনাস এর যুগ শেষ তাই এইটাইপ এর পোষ্ট দেবার পূর্বে পিঠে ছালা বেধে নেয়াই যুক্তি যুক্ত নাহলে এমন গদাম থুক্ু গদাম তো বুঝেন না পিটা /মাইর /গদাম খাবেন যে আর ওমুখো হবার কথা চিন্তাও করবেন না ।:-*:-*

***আবার ঘন্টায় ১৭ টা বা এরকম কপি পেস্টের চিন্তা করলে এখন ই বসে বসে মাছি মারেন |-) |-) :-< :-<

তাহলে এখন ব্লগার এর প্রশ্ন কি করে হব একজন হিট ব্লগার 

সেইজন্যই তো হল এই পুরো টিউটরিয়ালB-)B-)

তরিকা নং এক উরফে চিপা গলি তরিকা>> সেইটা হল আপনাকে বেশি করে ১৮+ জোকস দিতে হবে ।
-এইটা করা কোন ব্যাপার না এখন ফেসবুকে বাংলা পেইজ এর কোন অভাব নেই বলা হয় এই দেশে যত না ফেসবুক একাউন্ট তার চেয়ে বেশি ফেইসবুক পেইজ সেগুলো থেকে গরম গরম ভাপ দেয়া জোকস এনে পোষ্ট করুন ,হয়ে যাবেন হিট …….B-)B-)
সেই সাথে এই টিপস এর জন্য আমাকে বারবিকিউ দিতে ভুলবেন না।
তরিকা নং ২>> কেন আমি ছাগু না আম্মো ছাগু হইবার বাই বা কেনো আমি র’ এর এজেন্ট না এই টাইপ চিক্কুর কান্দন মূলক পোষ্ট দেয়া যাইতে পারে এই পোষ্টেই ছাগু ফাইটার রা আপনাকে ছুপা ছাগু বা ছাগবান্দব হিসেবে মার্ক করবে তারপর ভবিষ্যত এ কোন পোষ্ট দিলেই আপনি হিট :D

আর গুগলি তরিকা কইলে অনেক ছেলিব্রেটি ব্লগার ই আর এই পোষ্ট এ আইবো না B-)B-) তাই এইটা নিজ গুনে বুইঝা লন :-*:-*;);)