বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

এলোমেলো ভাবনা ,সেই সাথে নিস্তব্ধ দুপুরে নিজের সাথে কথোপকথন -১




মাঝে মাঝে মনে হয় । এই পৃথিবীর চলতে যে সময় এর উপর নির্ভর করে , তা থেমে গেছে তখন ভয় হয় ,কারণ সময় তো থামতে পারে না । অন্তত বিজ্ঞানী এবং সাহিত্যিক তারা নিজ নিজ ভাষাতেই তাই বলেন ,এই সময় টা বড়ই ভয়ঙ্কর। মনে হয় যেন কেন যে কাটে না ।আমার মাঝে মাঝে এরকম ই মনে হয় । এটা এখন না সেই ছোটো থেকেই ।
যেমন ছোটো দুপুরে ভাত খাবার পর মনে হত কখন বিকাল হবে আর আমি বাইরে খেলতে যাবো , আম্মু হয়তো পড়া দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে ,আর আমি কিভাবে আজকে ছক্কা মারবো তমুখ এর বলে তার প্রাক্টিস করছি বাসায় আমার রুমে বসে ।ভাব এমন যেন আজকে আমি একাই সব ছক্কা মারবো। অবশ্য খেলতাম বড়দের সাথে তাই সর্বশক্তি দিয়ে মারলেও দেখা যেত গালিতে আমাদের মুশফিকদের মত ক্যাচ তুলে দিয়েছি ।হা হা হা। তবে একদিনের কথা খুব মনে পড়ে , সেদিন ছিল আমার সেই ছোটো বেলার মফস্বলে শেষ বিকেল সেদিন বড় ভাই রা আমকে ৩ বার লাইফ দিয়ে ছিলেন , শেষের দিকে একটা দুর্দান্ত সিঙ্গেল নিয়ে জয়েও অবদান রেখেছিলাম ।সেই ছোটো দিনের পিচ্চি ইভান ……… ক্লাস ফাইভে পড়লেও তার বয়স ছিল মাত্র সাড়ে আট । আর মনে হচ্ছে এই তো কয়দিন আগেই সেই দিন টা গেলো ।

কয়েকদিন আগে সেই এলাকার পাশ দিয়ে জাফলং যাচ্ছিলাম ,ভাবছিলাম জীবন টা কত বিচিত্র এই সিলেটের মাটিতেই আমাকে পুরোপুরি বড় হতে হল । সে আমাকে আর কোথাও যেতে দিল না। সেই জৈন্তাপুর এর দিন গুলি অনেক মিস করি ।

হা হা ,কথার খেই হারিয়ে ফেলছি লিখতে বসেছিলাম অন্যএকটা ব্যাপার নিয়ে হয়ে গেলো স্মৃতিচারণ ,আসলে হা……….. মনে পড়েছে ।সামনে অনেক বড় একটা কাজের চাপ আসছে সেই কাজের ফাকে ফোকরে এদিক সেদিক উকি মারতেই আজকের এই নিস্তব্ধ হরতাল এর দুপুর হাজির. মনে হচ্ছে সেই ছোটো বেলার দিন গুলোর কথা সেখানে পড়ার টেবিলে পাশেই দেখা যেত বিশাল এক আমগাছ বছর বছর গ্যাপ দিয়ে তাতে মুকুল আসতো ,যখন মুকুল আসতো তখন যে কি মজা লাগত সারাদিন একা একা মুকুল গুলোর সাথেই গল্প করতাম । ওদের ছোটো থেকে বড় হতে দেখতাম আর বড় হয়ে যখন আম হল তখন বাইরে থেকে পিচ্চি গুলো এসে ঠিল ছুড়তো ওগুলো পাড়ার জন্য তখন কষ্ট লাগতো ,যে কেন ওদের গাছে থাকতে দেয় না ওই ছেলে গুলোর সমস্যা কি !!! যদিও গাছ টা আমাদের কোয়ার্টার এর পিছনের দিকে ছিল (খুব সম্ভব পানি উন্নয়ন এর অফিস এরিয়ায়)একদিন তো ছেলে গুলোর সাথে আমার বাসার দোতলা থেকে ঝগড়াই শুরু করে ফেলেছিলাম ,তারপর দেখি তারা আমার দিকে তাক করে জানালা বরাবর ঠিল ছুড়ছে ,আমি তো জানি শুধু একটা গালি আম্মু তোমাকে পচা ছেলে বলবে ,যাই হোক পরে আম্মু এসে বকা দিয়ে জানালা টাই মনে হয় বন্ধ করে দিয়েছিল । আর আমি আমার সেই দুর্ভাগ্য বরন করে নেয়া আম গুলোর জন্য কান্না করছিলাম ,খুব কষ্ট হয়েছিল সেদিন ,এখন ও মাঝে মাঝে নিজেকে এভাবেই প্রবোধ দেই যে যখন খুব প্রিয়জন এভাবে ছেড়ে চলে যেতে যায় তাকে চলে দিতে হয় হয়তো এটাই লেখা ছিল দুই জনের নিয়তিতে ………….


শিশুকাল সুলভ বাচ্চামির টা এখন ও আছে , যেমন এখন ও দোকানে গেলে খেলনা গাড়ি দেখলে অনেক অনেক খুটিয়ে দেখি কল্পনা করি যেন আমি খেলছি ,গতকাল ভার্সিটির জন্য বাসের অপেক্ষা করতে গিয়ে একটা খেলনা দোকানের পাশে দাড়িয়ে ছিলাম   একটা খেলনা ডবল ডেকার এর দেখে খুব পছন্দ হয়ে গেলো  দাম ও দেখলাম অনেক কম কিনতে ইচ্ছে হল ,যেন আমি বাসায় নিয়ে খেলবো ….এরকম উদ্ভট চিন্তা ভাবনা থেকে হঠাৎ আমার কানের কাছে একটা আওয়াজ এলো ……………..ভো ভো ভো …………যেন কে যেন বাস টা নিয়ে খেলছে । হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেলাম কারণ আওয়াজ টা করছি আমি কেউ শুনতে পারলে নেহাত আমাকে পাগল ঠাউরে বসবে ……………পুরোই নিজের মাঝে একাধিক সত্তার উপস্থিতি ……

যাই হোক এখন এখানে পাগলামি বন্ধ করি ……….এমনিতেই অনেক পাগলামির কথা লিখে ফেলছি আর বাকি কিছু লিখে পাবনায় আপাতোত স্যাটেল হবার ইচ্ছে নেই 

তবে মাঝে মাঝে অনেক অনুভব করি সেই ছোটো বেলার দিন গুলো কে স্কুল ও যাবার থেকে স্কুল ও যাবার পথে আর আসার পথে যে মজা টা হত সেটার জন্য ই স্কুল এ যেতাম …………    ইচ্ছে করে আবার ছোটো হয়ে যেতে তাহলে মানুষের মাঝে পঙ্কিলতা আর কলুষতা আর দেখতে হত না ,আর ছোটোদের মন তো এমনিতেই পবিত্র ,আমি সেই পবিত্র মনে অধিকারী হতে চাই ………..

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ফেসবুক বিষয়ক কিছু কড়চা এবং এর সেকাল, একাল ও পরকাল, সাথে একটি ব্লগীয় ফেসবুকীয় শর্টফিল্ম


কয়দিন আগে সিরিয়াস টাইপ লেখার ঝোক হচ্ছিল তখন লিখবো লিখবো বলে আর লেখতে বসতে পারি নি ,কিন্তু লেখার সময় দেখি গড় গড় করে লেখা হয়ে গেলো ,লেখার আগে শুধুই প্রথম লাইন টাই মাথায় এসে ঘুরছিল ,ওয়ার্ড ডকুমেন্ট এ এসে দেখি পুরোটাই গড় গড় করে বসে গেল। এই পোষ্ট টাই সেরকম কিছু একটা হতে পারে ।

তবে যখন লিখবো তখন কোথা থেকে শুরু করবো আর কোথায় গিয়ে শেষ করবো তার তাল আর দিক মেলাতে পারছি না।
তা টপিক হল ফেসবুক নিয়ে , হ্যা আসলে ইদানিং কিছু নতুন ফিচার বলবো না কুফা বলবো যাই হোক এই জিনিস টা উপরে আসলেই বিরক্ত এসে পড়েছে।তাই একটু এটার সুনাম গাইতে আসলাম আর কি ;);)
তাহলে আমরা আসুন জেনে নেই আমাদের ভবিষ্যৎ নেটপাগল ফেসবুক এর জমানা কেমন হবে
***বিকালের আড্ডায় –
আমাদের পিচ্চি বেলা – আসর এর নামাজ পড়ার নাম নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নামাজ কোনমতে শেষ করে মাঠে খেলতে যেতাম
এখনকার সময় – অমুখ এর ওয়াল বা ইনবক্সে তমুখের ওয়াল পোষ্ট দোস্ত বিকালে গ্রুপ চ্যাট এ থাকিস ।
ভবিষ্যত এ – বিকালে আমার ১৭০ নং আইডির তমুখ মেয়ের/ছেলের(সাইয়া নিক ও হইতে পারে) সাথে ডেটিং ইন চ্যাটবক্স
তা দেখি আসুন কথোপকথন
মেয়ে – তুমি কই থাকো সারাদিন তোমাকে অনলাইনে দেখি না।
ছেলে – ইয়ে মান ঝান সারাদিন অন্নেক বিজি ছিলাম ক্লাস এসাইমেন্ট ব্লা ব্লা ব্লা (মনে মনে আমার কি টাইম এর এতো কম দাম নাকি তোমার লগে সারাদিন চ্যাট করুম )আজকে যা করলাম না জরিনার সাথে চ্যাট এ ………….(বুদ্ধিমান রা বাকিটা ইশারায় বুঝে নিবেন)
***লুলস সমাজ –
আগেকার যুগে – স্কুল বা কলেজের টাইম এ সারাদিন পাংকু মেরে দাঁড়ায় থাকতো ,কত গরম ……..
এখন – পাড়ার কম্পিউটার এর দোকান থেকে ফটোশপে কাজ করা চরম একটা ফটো প্র – পিক লাগিয়ে সারাদিন শুধু কাজ হইলো বসে বসে মেয়েদের এ্যড করা আর মেয়ে ছবি দেখে কমেন্ট করা …………..your photo iz co cweet you like it……can I take my mobile number plz……..লুল ফেলতে ফেলতে ইংলিশ ই ভুলে গিয়েছে নাকি তাদের দৌড় এদ্দুর কে জানে ?? L
ভবিষ্যত – লুলসদের স্টাইল নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো তবে ভবিষ্যতে নিজেদের তৈরি কৃত ছাইয়া নিক দিয়ে বৃহত্তম ফেসবুকীয় ছাইয়া মহাযুদ্ধ করার সম্ভবনা আছে
তবে এই ব্যাপার টা নিয়ে একটা নাটক লিখার ইচ্ছা আছে অনেক দিন থেকে –
আগেকার দিনের যখন মেয়ে তার পছন্দের ছেলেকে বাসায় নিয়ে এসেছে বাসায় মার সাথে পরিচয় করাতে –
মেয়ে – মা এর নাম সুমন(কাল্পনিক নাম)
ছেলে- খালাম্মা স্লামালিকুম
মা- (ছেলের আদব কায়দা দেখে তো গদগদ) তা বাবা তুমি কি কর চাকরি বাকরি কিছু ??
ছেলে – না খালাম্মা আমি বেকার
মা – তাহলে আমার মেয়েকে খাওয়াবে কি ?? (মনে বড়ই আফসোস কারন মার ছেলে পছন্দ হয়েছে কিন্তু মেয়ের বাবা )
ছেলে – খালাম্মা আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু আপনি জেনে রাখবেন গরিবের ও ভালোবাসা বলে কিছু আছে (সাথে বাংলা সিনেমায় কড়া ভাবে চলনসই কিছু ডায়ালগ)
এখন কার সময় –
মেয়ের মা – তোমার বাবা কি করেন?
ছেলে – বাবা ব্যবসা করেন (চাপার উপরে দুনিয়ে চলে এখানে মারলেও গুনাহ নাই )
মা – তা তোমার কি অবস্থা নিশ্চয় তুমিও বাবার ব্যবসায় হাল ধরেছ ,তোমার ব্যাংক একাউন্ট আছে কয়টা ?
ছেলে- আন্টি এতো ফেসবুক একাউন্ট এর খোজ তো নিতে পারি না ,আছে এই ধরুন ২০ টার উপরে তো হবেই …….
মা – বুঝলেন ফেসবুক নিশ্চয়ই কোন ব্যাঙ্কের নাম ,ও আচ্ছা আচ্ছা
ভবিষ্যত –
বাবা – মা নীলস দেখ তোর জন্য কত্ত ভালো একটা ছেলে এনেছি যা তোরা নিজেদের মাঝে কথা বার্তা বল ।
মেয়ে –কিছুক্ষন পর কথা বার্তা বলে এসে (মন খারাপ এর চেহারা করে) এই ছেলেকে আমি বিয়ে করতে পারবো না বাবা
বাবা – কেন মা ??!! তোর জন্য এতো খুজে ছেলে আনলাম
মেয়ে – কারন বাবা এই ছেলের কোন ফেসবুক ফ্যান পেইজ ই নাই .........
এ্যন্ড ইউ নো ড্যাডি আমার বর এর ফেসবুক ফ্যান ৪০০০০ এর নিচে হতে কোনভাবেই পারবে না
বাবা- তখন ই ছেলের বাবা ছেলেকে গিয়ে তিরষ্কার
এই ছেলে তোমার বায়োডাটায় ছিল তুমি খুব বিখ্যাত একটা পেইজ এর এ্যাডমিন আমার মেয়ে তাহলে কি বলে ??(ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজ নিয়ে আমি নিজেই কনফিউজড আসলে কি বানানো উচিত)
ছেলে – ওহ আঙ্কেল ,আমি আপনার মেয়েকে বলতে চেয়েছি যে আমি
“ছেলের ৯৯% ই ওকে কিন্তু কোন ফ্যান পেইজ নাই ”এই পেইজ এর এ্যাডমিন আর আপনার মেয়ে কিনা ভুল শুনলো
মেয়ে – পর্দার আড়ালে থেকে শুনে লজ্জার হাসি দিয়ে ছেলের সামনে এসে বলল আই লাভ ইউর পেইজ রেজস…………আমাকে তোমার পেইজ এর এ্যাডমিন করবে না ?? ……………
সিনেমার সমাপ্তি …………….

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১

অবচেতন মনের কথা অথবা কোন কাল্পনিক ভাবজগত


   শাওয়ারের নিচে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে ইভান।মাথা ঠাণ্ডা রাখার যতটা সম্ভব চেষ্টা করার সে করে যাচ্ছে কিন্তু পারার চেষ্টা করেও পারছে না। কারন আজকে তার জীবনের সব চেয়ে বড় ধাক্কা টা খেয়েছে।তার ৫ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছে তার মেয়েবন্ধু যাকে কিনা সে তার বন্ধুদের কাছে তার হবু বধু বলে পরিচয় দিতো সে আজ তার ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে জানিয়েছে যে তাদের মাঝে আর রিলেশন রাখা সম্ভব নয় …….ব্যাপার টা মনে হতেই সে যেন অন্য জগতে চলে যায় চার সামনে ভেসে উঠে কত স্মৃতি ,সেই প্রথম দেখা ,প্রথম স্পর্শ আরো কতকিছু ….

কিন্তু কেন ? কেন !! এই সিদ্ধান্ত বার বার তাকে ফোন করেও পাওয়া  গেল না। নাহ ! হয়তো আমি ভুল শুনেছি নিজেকে প্রবোধ দেয় ইভান ,শাওয়ার নিচে দাঁড়িয়ে থেকেই পাশের র্যারক থেকে মোবাইল টা হাতে নিয়ে সে ফেসবুকে আবার লগ ইন করার চেষ্টা করে তার অতি প্রিয় বিশ্বস্ত সেট নোকিয়া ২৭০০ ক্লাসিক ,কত ক্লান্তিময় রাতের অভিজ্ঞতা এই নীরব জড় বস্তু টার

রয়েছে ,মাঝে মাঝে ওরা হাসা হাসি করতো ,বলতো যদি মোবাইল এর লেখার ক্ষমতা থাকতো তাহলে সে নিজেই আজ অনেক বড় লেখক হয়ে যেতে পারতো ……আরো কত কি …

হঠাৎ ইভানের চিন্তায় ছেদ পড়ে ,কি ব্যাপার আমার অপেরা ব্রাউজারে তো অটো লগইন করা কিন্তু এতো কিছু ভেবে ফেললাম তারপর ও লোডিং শব্দ টা যেন তার সাথে আজ দুষ্টুমি করছে । দুষ্টুমি !! হাহ কত যে করতো সে তার দুষ্টুমির কথা লিখতে গেলে সে আরেক ইতিহাস ......এর মাঝেও একটা দুষ্টুমি ছিল তার মাঝে মাঝে ব্রেক আপ করে ফেলবে এই টাইপ দুষ্টুমি ইভান আর ও সেদিন গোনার চেষ্টা করছিল কয়বার যেন তুমি আমাকে ব্রেক আপ এর কথা বলেছ এই পর্যন্ত ফোনের ওপাশ থেকে হাসির শব্দ “সেই পরিসংখ্যান কি আমি রাখবো ?? ” হুম গলার স্বর খানি প্রফেসরের মত করে ইভান বলে উঠলো বেশী না মাত্র ১৮ বার । আবার ওপাশ থেকে হাসি । হি হি  হি! নাহ এই মেয়েটা কোনদিন ও সিরিয়াস হল না ।খালি দুষ্টুমি ই করে গেল আর কিছু বুঝলো না । আবার বাস্তবে ফিরে আসে ইভান তার অপেরা ব্রাউজার ও তার সাথে আজ দুঃসময়ের পুরো সুবিধা টুকু নিচ্ছে তার মনে হল । তাই তাড়াতাড়ি মোবাইল এর গুগল দিয়ে লগ ইন করলো, ক্ষীণ আশা হয়তো আবার সেই ইনবক্স, আরে আমি তোমার সাথে ব্রেক আপ করতে পারি তুমি জানো না.. এই বলি ব্রেক আপ আবার ভাবি যে আরে আমি যে তাকে বললাম আমি কি তার সাথে কথা না বলে থাকতে পারবো …. ।যাক অবশেষে লগ ইন হল কিন্তু কোথায় কি ! ইনবক্স এর ১৭০ টা মেসেজ, নতুন কোন মেসেজ নেই যেন বীভৎস ভাবে তার দিকে তাকিয়ে দাত কেলিয়ে হাসছে । প্রচন্ড মন খারাপ এর মাঝে মোবাইল টাকে সে জোরে আছাড় দিতে গিয়েও দিলো না মনে হল শরীর কাপছে । মন কে সুবোধ দিতে লাগলো সে ,কিন্তু পারছে না নার্ভাস ব্রেকডাওন হবে তার ।তার পরও নিজে বিড় বিড় করে বলে চলেছে আই এম অকে আই এ্যাম ফাইন , আমি অনেক ভালো আছি এই যে এখন অনেকটাই মুক্ত স্বাধীন কেউ আর ফোন করে ক্লাস টাইমে জ্বালাবে না ।ক্লাস এ স্যার সামনে থেকে আর কারো ভয়ে ফোন রিসিভ করতে হবে না …..ইভান নিজেই আবিষ্কার করলো সে নিজে নিজেই বলছে নাকি দূর দুরান্ত থেকে ভেষে আসছে এভরিথিং উইল বি অকে কিচ্ছু হবে না ,আরেক দিক থেকে কে যেন বলছে শি উইল বি কাম ব্যাক ,তোমাকে ছাড়া সে থাকতে পারবে না …….এই সব কি নিজেকেই বলছে নাকি তারই অবচেতন মন দুটি সত্ত্বা থেকে তাকে বলছে ……………


সে এসব কিছু শুনতে চায় না ……………..সে প্রাণপণে চাচ্ছে তার অবচেতন মন থেকে আসা শব্দ  গুলো বন্ধ হোক ………




**নিজের নাম ছাড়া আর কারোরটা মনে করতে পারলাম না । লেখকের বাস্তব জীবন হিসেবে ভাববেন নাকি ভাববেন না সেই দায়ভার পাঠক এর উপর বর্তালো ।কারো সাথে মিলে গেলে তা নিছকই কাকতালীয় .